ক্রমে চাঙ্গা হচ্ছে শেয়ারবাজার। শেয়ারদর বাড়তে থাকায় নতুন বিনিয়োগ নিয়ে শেয়ারবাজারে ভিড় করছেন অনেকে। এতে লেনদেন ক্রমে বাড়ছে। গতকাল রোববার দেশের দুই শেয়ারবাজার মিলে এক হাজার ৩২১ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা গত বছরের ১১ আগস্টের পর সর্বোচ্চ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর গত বছরের ৬ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত টানা চার দিন ব্যাপক উত্থান হয়েছিল শেয়ারবাজারে। এর মধ্যে ১১ আগস্ট লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। তবে এর পর দরপতন শুরু হলে ক্রমে লেনদেন কমে গত মে মাসের তা ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছিল।
তবে বাজেট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জুনের শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে শেয়ারদর। এ ধারা স্থায়ী হলে ক্রমে আশাবাদী হন বিনিয়োগকারীরা। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল এসএমই মার্কেটসহ ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতেই প্রায় এক হাজার ২৯৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। চট্টগ্রামকেন্দ্রিক দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ২৩ কোটি টাকার শেয়ার।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাতে মোট ৩৫০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ২৭ শতাংশ। তবে এ দুই খাতের ৩৮ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৪১টির দর।
প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতের ১৮ শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে চারটি দর হারিয়েছে। তাতে সূচকে যোগ হয়েছে ২৮ পয়েন্ট। এদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানিরও অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। অন্য সব খাতের মিশ্রধারা সত্ত্বেও ডিএসইএক্স ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫৫৯৪ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে।