পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে একদিকে ভারতে পেঁয়াজ আমদানি, অন্যদিকে নেপালে পাট ও আলু রফতানির কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার (৩১ আগস্ট) একদিনেই এই বন্দর দিয়ে ৫৯০ মেট্রিক টন পাট ও ৮৪ মেট্রিক টন আলু রফতানি করা হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই দিন মেসার্স আব্দুল করিম এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স তাসফিয়া জুট ট্রেডিং, মেসার্স বালাজি এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সুবল কুমার সরকার, আসিবা জুট ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স ম্যাক্সি জুট এবং বগুড়া জুট মিল লিমিটেডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান নেপালে পাট রফতানিতে অংশ নেয়।
এই চালানের মধ্য দিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত নেপালে মোট ১৮ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন পাট রফতানি হয়েছে। একই সময়ে আলু রফতানির হিসাব অনুযায়ী, নতুন চালানসহ মোট ২৪ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন আলু ইতোমধ্যে নেপালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাবান্ধা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন পরিদর্শক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, "বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি চালান পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, যেন কৃষিপণ্যের গুণগত মান বজায় থাকে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।"
বাংলাবান্ধা আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন বলেন, "বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে এই বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হতে পারে।"
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, "বাংলাবান্ধা এখন চতুর্দেশীয় বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রতিদিনই রফতানি কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করছি, যাতে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন।"
স্থলবন্দর সংশ্লিষ্টদের আশা, ভবিষ্যতে পাট ও আলু রফতানির পরিমাণ আরও বাড়বে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।