বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমতে থাকায় তা সামাল দিতে জরুরি বৈঠকে বসছে ওপেক প্লাস জোটের প্রধান সদস্যরা। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরব, রাশিয়া, ওমান, ইরাক, ইউএইসহ ‘ভলান্টারি এইট’ বা ভি৮ নামে পরিচিত আটটি তেল উৎপাদনকারী দেশ আলোচনায় বসছে।
বর্তমানে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম নেমে এসেছে ৬৫-৭০ ডলারে, যা এ বছরের শুরু থেকে প্রায় ১২ শতাংশ কম। অতিরিক্ত সরবরাহের আশঙ্কা ও দুর্বল চাহিদা এই পতনের প্রধান কারণ।
গত কয়েক বছরে ওপেক প্লাস প্রতিদিন প্রায় ৬০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমিয়ে রেখেছিল। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভি৮ সদস্যরা বাজারে প্রভাব ধরে রাখতে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বছরের শেষ ভাগে সাধারণত তেলের চাহিদা কম থাকে। এই সময় অতিরিক্ত সরবরাহের ফলে দামের ওপর আরও চাপ পড়তে পারে। তাই অক্টোবরের জন্য উৎপাদন কোটা নতুনভাবে সমন্বয় করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্তকে ঘিরে অনিশ্চয়তা থাকলেও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাও বাজারকে প্রভাবিত করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও ভারতীয় বাজারে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বিশ্ব তেল সরবরাহ ও বাণিজ্যে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার তেল রপ্তানি সীমিত হলে ওপেক প্লাসের অন্য সদস্যদের জন্য বাজারে নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে। তবে উচ্চ তেলের দাম রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে জরুরি হওয়ায় তারা উৎপাদন বাড়াতে চাইলেও তা বাস্তবে কঠিন হতে পারে।
সিদ্ধান্ত যাই হোক, এই বৈঠকের প্রভাব বিশ্বজুড়ে জ্বালানি বাজারে প্রতিফলিত হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।