ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল কাদের অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন চলাকালে বহু প্রার্থী ও ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। অথচ নির্বাচন কমিশন এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভূতত্ত্ব ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, অনেক প্রার্থী টোকেন দিয়ে ভোট চাচ্ছেন, যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে ভোটাররা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, এসব বিষয় কমিশনকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কমিশনের এ ধরনের নিষ্ক্রিয়তা ভোটের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
আবদুল কাদের আরও বলেন, অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ভোটে অংশগ্রহণ করবে কি না—এ নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করলেও তারা ভোট দিতে আসছেন। সকাল ৮টা বাজতেই আবাসিক শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। ভোটারদের অংশগ্রহণে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বলেন, ভোটাররা যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবেন, কোনো চটকদার প্রচারে প্রভাবিত হবেন না। তিনি তাদের বিজয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কোন প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন—এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে আচরণবিধি ভেঙেছেন। এছাড়া সিনেট ভবনে দুই ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী ভোটারদের টানাটানি করছিলেন, যার প্রতিও কমিশন নির্বিকার থেকেছে। কাদের এই অবস্থাকে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে মন্তব্য করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে টিনের বাক্স ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সন্দেহ তৈরি করছে। মাঠপর্যায়ে এখনও বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের শঙ্কা আছে বলে জানান তিনি। তবে, ১০০ গজের মধ্যে যারা ভোট চাচ্ছেন তারা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারবে না বলেও তিনি বিশ্বাস করেন। তার মতে, অধিকাংশ ভোটার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রে এসেছেন।