জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হলেও নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২১টি কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ২২৪টি বুথ। পাশাপাশি ক্যাম্পাসজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই টহলে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে অনেক হলে এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় প্রতিটি হলেই স্থাপন করা হয়েছে ভোটকেন্দ্র। এর মধ্যে ১১টি হলে ছাত্ররা এবং ১০টি হলে ছাত্রীরা ভোট প্রদান করছেন। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন।
ছাত্রদের হলে ভোটার সংখ্যা: আল বেরুনী হলে ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন।
ছাত্রীদের হলে ভোটার সংখ্যা: নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন।
কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থনে গঠিত সর্বমোট ৮টি প্যানেল অংশগ্রহণ করছে। ভোট গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হবে।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ৬৭ জন শিক্ষক পোলিং অফিসার এবং সমসংখ্যক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহকারী পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।