ইসরায়েলি বাহিনীর গাজার আল-নাসের হাসপাতালে বিমান হামলায় পাঁচ সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানসহ একাধিক দেশের সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কানাডা, মিশর, ইরান ও সৌদি আরবও এই হামলার ঘটনায় গভীর শোক ও নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে।”
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২৫ আগস্ট) গাজার খান ইউনুস শহরের আল-নাসের হাসপাতালে। প্রথমে একটি হামলা চালানোর পর, কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের লক্ষ্য করে দ্বিতীয় দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আল-জাজিরা, রয়টার্স, এপি ও এনবিসি-র পাঁচ সাংবাদিকসহ বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এক বিবৃতিতে জানান, “এই হামলায় সাংবাদিক, চিকিৎসক ও সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো এই ঘটনাকে “অসহনীয়” বলে উল্লেখ করে বলেন, “গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।” তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আরও কঠোর ভাষায় নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেন, “মানবাধিকার রক্ষার বুলি দিয়ে গাজায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল।”
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শুধু মঙ্গলবার সকালেই মারা গেছে আরও ২৪ জন। এই ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী আবারও ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি ও গাজায় তার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।