গাজায় চলমান সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ ও হামাসের হাতে আটক থাকা বাকি জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট) সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ করছেন। এতে জিম্মিদের পরিবারসহ সাধারণ জনগণও অংশগ্রহণ করছেন।
দেশজুড়ে এ বিক্ষোভের আয়োজন করেছে ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ নামক একটি গ্রুপ, যারা দীর্ঘদিন ধরে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিকে সরকারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে সাহায্য করেন এবং হামাসের হাতে আটক থাকা জিম্মিদের মুক্তিতে ভূমিকা রাখেন। ধারণা করা হচ্ছে, হামাস যাদের জিম্মি করেছে, তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন এখনও জীবিত রয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের মহাসড়কগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে, যা সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। তেল আবিবের উত্তরে ইয়াকুম জংশনের কাছে কোস্টাল হাইওয়ে বা রুট টু-তে বিক্ষোভকারীরা সড়কের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে ওই মহাসড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।
এরই মধ্যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া মাতান জাঙ্গাউকারের মা আইনাভ জাঙ্গাউকার আজ সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “৬৯০ দিন ধরে সরকার কোনো সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আজ স্পষ্ট যে নেতানিয়াহু জনগণের চাপে ভয় পান। আমরা এই যুদ্ধ আরও এক বছর আগেই শেষ করতে পারতাম এবং সকল জিম্মি ও সেনাদের ফিরিয়ে আনতে পারতাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বেসামরিক মানুষদের বলি দিতে বাধ্য হচ্ছেন।”
ইসরায়েলজুড়ে এই প্রতিবাদ এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি চলছে। এর আগে গতকাল দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে পাঁচ সাংবাদিক এবং চারজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে।