গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ চলছে, যা জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা আইপিসি সম্প্রতি "ফেজ ৫" হিসেবে ঘোষণা করেছে—এটি দুর্ভিক্ষের সর্বোচ্চ পর্যায়। আইপিসি জানিয়েছে, গাজার প্রায় ৫ লাখ মানুষ এই সংকটে রয়েছে। অথচ সীমান্তে শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে আছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ইসরায়েল খাদ্য সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। প্রতিদিন যেখানে ৬০০ ট্রাক প্রয়োজন, সেখানে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে অর্ধেকেরও কম। মে মাসে সীমিতভাবে পণ্য প্রবেশের অনুমতি দিলেও বিতরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা জিএইচএফ, যার মাত্র ৪টি বিতরণকেন্দ্র রয়েছে সামরিক নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। ফলে বহু মানুষ প্রাণ ঝুঁকিতে পড়ে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, সহায়তা নিতে গিয়ে প্রায় ১,৭৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপুষ্টিজনিত কারণে ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১১২ শিশু। ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে, দায় দেয় হামাস ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর ওপর।
তবে মার্কিন ও আন্তর্জাতিক রিপোর্টে হামাসের পক্ষ থেকে সহায়তা ব্যাহত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং দেখা গেছে, ইসরায়েলের কৌশলগতভাবে ত্রাণ আটকে রাখাই দুর্ভিক্ষের মূল কারণ।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছে। ইসরায়েলের আসন্ন সামরিক অভিযানে গাজার আরও ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।