মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আরোপিত শুল্কে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক টানাপোড়েন তীব্র আকার নিয়েছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। তবে এই চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে আরও বেশি তেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
রয়টার্স জানায়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে মস্কো। এতে তাদের জ্বালানি রপ্তানি কমে যায়। এই সুযোগে ভারত রাশিয়ার সস্তা অপরিশোধিত তেলের অন্যতম বড় ক্রেতায় পরিণত হয়।
ভারতের এই পদক্ষেপে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। অভিযোগ, ভারত রাশিয়া থেকে সস্তা তেল কিনে লাভবান হচ্ছে এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতি নিচ্ছে। এর জবাবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক বলছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহ দেখিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের তেল পরিশোধন কোম্পানিগুলো রাশিয়া থেকে আমদানি ১০–২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে, যা দৈনিক দেড় থেকে তিন লাখ ব্যারেল তেল আমদানির সমান। বর্তমানে ভারতের মোট তেলের ৪০ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে, যা দেশটিকে রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতায় পরিণত করেছে। চীন ও তুরস্ক অবস্থান করছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।
এদিকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কূটনৈতিক বৈঠকেও ব্যস্ত সময় পার করছেন, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।