ভারতে পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আরিফুজ্জামান আরিফের। ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে গ্রেফতার করে উত্তর চব্বিশ পরগনার স্বরূপনগর থানায় হস্তান্তর করেছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। হাকিমপুর চেকপোস্টে বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে। পরিচয়পত্র যাচাই করে নিশ্চিত হয় যে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তা এবং একাধিক হত্যা মামলার আসামি।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, আরিফুজ্জামান শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চার্জশিটভুক্ত আসামি। এ মামলায় মোট ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং বিচারকাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও চারটি হত্যা ও হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে – কলা ব্যবসায়ী শহীদ মেরাজুল ইসলাম, সবজি ব্যবসায়ী শহীদ সাজ্জাদ হোসেন, কলেজ শিক্ষার্থী জিম এবং পল্লী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকীকে লক্ষ্য করে হত্যা ও হামলার অভিযোগ।
গত বছর ১৪ আগস্ট কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে চলছিলেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আরিফুজ্জামান ছিলেন অন্যতম আক্রমণাত্মক কর্মকর্তা। শহীদ আবু সাঈদকে গুলি করার সময় তিনি现场ে উপস্থিত ছিলেন এবং সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, যেহেতু তিনি ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন, তাই তার প্রত্যার্পণের বিষয়টি দুই দেশের মন্ত্রণালয়ের আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। ইতোমধ্যে তার মামলা ও নথিপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।