পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, যার ফলে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশের তিনটি আন্তঃসীমান্ত নদী অতিরিক্ত উচ্চতায় প্লাবিত হওয়ায় ২,৩০০টিরও বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ত্রাণ কর্মকর্তারা জানান, ৪৮১,০০০ মানুষ ও ৪০৫,০০০ গবাদি পশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জাব সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান ইরফান আলী খান জানান, এটি প্রদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান, যেখানে ৮০০টিরও বেশি নৌকা ও ১,৩০০ উদ্ধারকর্মী অংশ নিয়েছেন।
পাঞ্জাবে সর্বশেষ বন্যায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এবং জুন মাসে অতিরিক্ত বর্ষায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যা দুর্গত এলাকায় ৫০০টিরও বেশি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে পরিবার এবং তাদের গবাদি পশুদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। অনেক পরিবার তাদের বাড়ি ছেড়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
এক ত্রাণকর্মী জানান, "সবাই সবকিছু হারিয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের জন্য কিছুই অবশিষ্ট নেই।"
তবে বৃষ্টি এবং প্লাবন অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে গত বছরও সবচেয়ে বড় মৌসুমি বন্যা দেখা দিয়েছিল, যেখানে এক তৃতীয়াংশ দেশ প্লাবিত হয়েছিল।