সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি বিতর্কিত পুনর্গঠন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায়, গাজার দুই মিলিয়ন বাসিন্দাকে তাদের জমি ছেড়ে দেওয়ার শর্তে জনপ্রতি ৫,০০০ ডলার, চার বছরের ভাড়া এবং এক বছরের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ‘গ্রেট ট্রাস্ট’ নামের ৩৮ পৃষ্ঠার এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গাজা আগামী ১০ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে থাকবে এবং অঞ্চলটিকে পর্যটন ও প্রযুক্তি কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে।
গাজার বাসিন্দাদের জন্য ডিজিটাল টোকেনের মাধ্যমে স্মার্ট সিটিতে বসবাসের সুযোগ, অথবা বিদেশে চলে যাওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পরিকল্পনায় গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’ হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে, যেখানে আধুনিক ভবন, পার্ক, গলফ কোর্স ও বিশ্বমানের রিসোর্ট থাকবে। পরিকল্পনাটি ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (GHF) দ্বারা প্রণীত এবং এর সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিভিন্ন ‘মেগা-প্রকল্প’ যুক্ত করা হয়েছে।
এটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং ট্রাম্প এ বিষয়ে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। যদিও পরিকল্পনাটি “স্বেচ্ছায় পুনর্বাসন” বলে দাবি করা হয়েছে, তবে অনেকেই এটিকে জাতিগত নির্মূলের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। আন্তর্জাতিকভাবে এই প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে।