পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে পর্যটকদের বহনকারী গ্লোরিয়া ফানিকুলার ট্রাম দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। নিহত ও আহতদের অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক।
ঘটনাটি ঘটে যখন ট্রামটি রেস্তোরাডোরেস স্কয়ারের দিক থেকে বাইরো আল্টো এলাকায় উঠছিল। এই ঐতিহাসিক রেলপথটি ১৮৮৫ সালে চালু হয় এবং এটি দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি বাহন হিসেবে পরিচিত।
দুর্ঘটনার পর লিসবনের মেয়র কার্লোস মোয়েদাস এক বিবৃতিতে বলেন, “এটি আমাদের শহরের জন্য একটি দুঃখজনক দিন। লিসবন আজ শোকে আচ্ছন্ন।” তিনি ঘটনাটিকে মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক হিসেবে উল্লেখ করেন। দেশটির রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সুসাও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ দ্রুত খুঁজে বের করার আশ্বাস দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রামটির ওপরের অংশ লাইনচ্যুত হয়ে প্রচণ্ডভাবে কাঁপছিল এবং যাত্রীরা জানালার কাঁচ ভেঙে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং চিৎকার শোনা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা, বৈদ্যুতিক সংযোগজনিত সমস্যা কিংবা ব্রেকফেইল থেকে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে।
নিহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে একাধিক বিদেশি রয়েছেন। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে।