নেপালে চলমান ‘জেন-জি’ তরুণদের বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে জানানো হয়, চলমান সংকটের সংবিধানসম্মত সমাধানের পথ সুগম করতেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
একইদিন দ্বিতীয় দফায় রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভের সময় রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। জেন-জি বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন জোটের শরিক নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পাশাপাশি তারা মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করেন।
সরকার আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবসহ বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও কারফিউ উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে আসে আন্দোলনকারীরা। দুর্নীতি ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তরুণদের এই আন্দোলন রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
এখন পর্যন্ত দুইদিনের সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট