রাঙামাটিতে হঠাৎ বেড়ে গেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এতে স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রবও বাড়ছে। জমে থাকা পানি ও অপরিষ্কার নালা-নর্দমায় প্রতিদিনই বাড়ছে এডিস মশার বিস্তার।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, জুলাই মাসে ১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হলেও আগস্টে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। দুই মাসে মোট ৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
তবে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কোনো কক্ষ নেই। ফলে সাধারণ রোগীদের পাশেই মশারি ছাড়াই ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যা অন্যান্য রোগীদের ঝুঁকিতে ফেলছে।
রোগী সিরাজি বেগম বলেন, “আমার পাশে যে রোগী ছিলেন, তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলেন—তা আমরা জানতাম না। পরে তাকে চট্টগ্রাম পাঠানো হলে বিষয়টি বুঝি।”
হাসপাতালের আরএমও ডা. সওকত আকবর চৌধুরী বলেন, “মশারিতে রাখার নির্দেশ থাকলেও অনেকে থাকতে চান না। তবুও আমরা চিকিৎসা সেবায় কোনো ঘাটতি রাখছি না।”
এদিকে ডেঙ্গুর বিস্তার ঠেকাতে রাঙামাটি পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ডেই মশা নিধনের কার্যক্রম জোরদার করেছে। পৌর প্রশাসক মো. মোবারক হোসেন জানান, “বৃষ্টির কারণে মশা বাড়ছে, তবে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও সক্রিয় রয়েছেন।”