ওয়াই-ফাই বা মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন স্বল্পমাত্রার এবং সাধারণভাবে ত্বকের সামান্য ক্ষতি ছাড়া বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে দীর্ঘমেয়াদে এক্সপোজার নিয়ে কিছু সতর্কতা রয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গবেষক জানান, ওয়াই-ফাই রাউটার খুব কম সময়ের জন্যই তথ্য প্রেরণ করে এবং রাউটার থেকে যত দূরে থাকা যায়, শরীরে রেডিয়েশনের প্রভাবও তত কমে যায়। ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার অধ্যাপক কেনেথ ফস্টার বলেন, রাউটার অধিকাংশ সময় অপেক্ষা করে থাকে, ফলে এক্সপোজার খুবই কম।
তবে কিছু গবেষক, বিশেষ করে বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোয়েল মোস্কোভিটজ, মনে করেন—দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন-স্তরের রেডিয়েশন শিশুদের স্নায়বিক বিকাশ, ক্যান্সার ও প্রজনন সমস্যার মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মোবাইল ফোনকে ‘সম্ভাব্য ক্যানসার সৃষ্টিকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যদিও এখনো এ বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ডিভাইস শরীর থেকে দূরে রাখা ও ব্যবহারের সময় ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখা নিরাপদ।
সারসংক্ষেপে, বর্তমান রেডিয়েশন মাত্রা সাধারণভাবে নিরাপদ হলেও, সতর্ক ও সীমিত ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও কমানো সম্ভব।