কাঁচা পেঁয়াজে থাকা ফ্রুক্টান নামক এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট হজমে অসুবিধা করে। ফলে অনেকের পেটে গ্যাস, ফাঁপা, ব্যথা বা বদহজম হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (IBS) আছে, তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
এছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ খেলে অনেকের বুক জ্বালাপোড়া বেড়ে যায়। কারণ এটি পাকস্থলীর পেশি শিথিল করে এবং এসিড ওপরে উঠে আসে। তাই রাতে কাঁচা পেঁয়াজ না খাওয়াই ভালো, বরং হালকা ভেজে খাওয়া নিরাপদ।
মুখের দুর্গন্ধ আরেকটি সমস্যা। সালফারযুক্ত যৌগের কারণে মুখ ধোয়ার পরেও এই গন্ধ থেকে যায়, যা বিব্রতকর হতে পারে।
কিছু মানুষের আবার অ্যালার্জি দেখা দেয়—ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা ফোলাভাব হতে পারে। এই লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
কাঁচা পেঁয়াজ রক্তে শর্করার ওঠানামা ঘটাতে পারে, তাই ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সাবধান থাকা উচিত। বেশি খেলে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতাতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে কাঁচা পেঁয়াজে উপকারও আছে। এতে থাকা ক্যোয়ারসেটিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং প্রো-বায়োটিক উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সহায়তা করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
পরামর্শ:
✔️ পরিমাণমতো কাঁচা পেঁয়াজ খান
✔️ হালকা ভেজে বা রান্না করে খেলে হজমে সুবিধা হয়
✔️ মুখের দুর্গন্ধ কমাতে আপেল খেতে পারেন বা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন পেঁয়াজ
সতর্কতা ও পরিমিততা মেনে চললেই কাঁচা পেঁয়াজ হতে পারে উপকারের উৎস।