চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার বিকেল পৌনে ৬টায় জিয়া মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী ও ইয়াশিরুল কবির সৌরভসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী। তারা হামলাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।
এস এম সুইট বলেন, "চট্টগ্রামের প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। এরই ফলশ্রুতিতে চবি শিক্ষার্থীদের ওপর এই ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে এ ধরনের ঘটনা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘটতে পারে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।"
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে একটি ছাত্রীকে দেরিতে বাসায় ফেরায় দারোয়ান মারধর করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দুই শিক্ষকও আহত হন। পরদিন রোববার সকালেও নতুন করে সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ আরও অন্তত ৭০ জন আহত হন।