ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। ভোটার তালিকা নিয়ে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই সিদ্ধান্ত দেন। ফলে দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে যাত্রা শুরু করলেও তা আবারও অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রিটটি দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফাহমিদা মজিদ। তার অভিযোগ, তিনি হলে অবস্থানরত ও নিয়মিত ছাত্রী হলেও সদ্য প্রকাশিত ডাকসুর খসড়া ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। এর ফলে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা সংবিধান ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
আদালতে ফাহমিদা মজিদের পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, “একজন বৈধ শিক্ষার্থী হিসেবে তার নাম তালিকায় না থাকা প্রমাণ করে যে, ভোটার তালিকা প্রস্তুতিতে গাফিলতি ও অনিয়ম হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে তা অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে না।”
শুনানি শেষে আদালত বলেন, নির্বাচন আয়োজনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সুষ্ঠুভাবে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে। এর আগে কোনো নির্বাচন আয়োজন করা যাবে না।
আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও ডাকসু নির্বাচন কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলেছে—কেন ভোটার তালিকা থেকে শিক্ষার্থীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, এবং কেন এই নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা না করা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট মহলে এই আদেশের প্রতিক্রিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন বন্ধ না করে তালিকা সংশোধনের পথ খোলা রাখা যেত। অন্যদিকে, অনেকেই বলছেন, সবার অধিকার নিশ্চিত করেই ভোট হওয়া উচিত।