জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলের সামনে ভিডিও (ক্যামেরা) ট্রায়ালের মাধ্যমে তিনি তার জবানবন্দি দেন।
এর আগে, ১০ জুলাই চৌধুরী মামুন নিজেই স্বপ্রণোদিত হয়ে ট্রাইব্যুনালে দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডে আমি জড়িত ছিলাম। আমি সব রহস্য প্রকাশ করতে চাই। এই গণহত্যা সম্পর্কে যা জানি, সব জানাতে চাই।”
তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জায়েদ বিদ আমজাদ জানান, মামুন রাজসাক্ষী হতে চান এমন একটি আবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন মঞ্জুর করে তাকে রাজসাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করে।
গত ১২ মে, তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়, যেখানে তাকে জুলাইয়ের গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মামলার অন্য দুই আসামি হচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মামুন নিজেই।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে, যা পরবর্তীতে প্রসিকিউশনের আবেদনে বর্ধিত হয়।
এই মামলায় অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় বলে অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।