কারাগারে সময় কাটছে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তসবিহ ও লেখালেখির মাধ্যমে—এভাবেই দিন পার করছেন সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মামলাগুলো নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন বরং নিজ আইনজীবীকে ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার কাফরুল থানায় করা হত্যা প্রচেষ্টার একটি মামলায় পলককে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত। এই মামলাসহ পলকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার বাইরে এখন পর্যন্ত মোট ৭৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তার মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল এবং পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো ছিল। আদালতের কাঠগড়ায় পৌঁছালে এসব সরিয়ে দেওয়া হয়।
আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন পলক। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জানান, পলক জানিয়েছেন তিনি কোনো মামলাতেই জড়িত নন এবং নির্ভার আছেন। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল, সাইবার সিকিউরিটি আইন, দুদক এবং সাধারণ ফৌজদারি মামলাগুলো তাকে বিচলিত করছে না। দুদকের মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রমাণের কিছুই নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের একটি মামলাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তার লাইসেন্সকৃত অস্ত্রটি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পরিবারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর তার বাসায় লুটপাট চলাকালীন ওই অস্ত্রটি চুরি হয়ে যেতে পারে। সেই অস্ত্র কেউ অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করলে, দায় যেন তার উপর না পড়ে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কারাগারে পলকের দিনযাপনের বিষয়ে আইনজীবী রাখী বলেন, তিনি সময় কাটাচ্ছেন নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তসবিহ এবং লেখালেখির মধ্য দিয়ে।
উল্লেখ্য, মামলার এজাহার অনুযায়ী, ১৯ জুলাই ‘জুলাই আন্দোলনের’ সময় ঢাকার কাফরুলের আরমান মেইনারের সামনে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল আলিম নামে এক ব্যক্তি। তার চোখে গুলি লাগে। পরে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে ১ এপ্রিল তিনি পলকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।