চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের পর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ১২টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে সিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার এ তথ্য জানান।
সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়ে মডেল থানা ও নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন, শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদার, আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া এবং ১০টি নতুন হল (৫টি ছাত্র ও ৫টি ছাত্রী) নির্মাণ। পাশাপাশি পুরনো হল সংস্কার, মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর, ২টি নতুন অ্যাম্বুলেন্স সংগ্রহ এবং শিক্ষার্থীদের বসবাসরত কটেজ মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়।
সংঘর্ষের তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন ও টহল জোরদারের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং স্থানীয়দের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণ করে সরকারকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং সিন্ডিকেট সদস্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।