বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ সরাসরি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছ থেকে এসেছিল—এমন দাবি করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে মামুন বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর হেলিকপ্টার ও ড্রোন থেকে গুলি চালানো হয়, বহু মানুষ নিহত ও আহত হন। নিহতদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মামুন জানান, এসব বর্বরতার দায় নিয়ে তিনি লজ্জিত ও অনুতপ্ত।
তিনি আরও বলেন, ডিবিপ্রধান হারুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবসহ একাধিক কর্মকর্তা এই দমন-পীড়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ‘টিএফআই সেল’ নামের র্যাবের গোপন বন্দিশালায় বিরোধীদের তুলে এনে নির্যাতন চলতো। আন্দোলন দমন এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করার নির্দেশনা এসেছিল সরকারি মহল থেকে।
সবশেষে সাবেক আইজিপি বলেন, “এই গণহত্যায় আমার দায় আছে, আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।”