বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই নারী কেবিন ক্রুর বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, তারা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান এবং সেই সুযোগে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেন।
অভিযুক্ত কেবিন ক্রুরা হলেন এম এস টি মৌরি ও খাদিজা সুলতানা শিমু। কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী নাছির আহমেদ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে মৌরির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে, একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওমর ফারুক শিমুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
নাছির আহমেদের অভিযোগ, মৌরি বিমানের কেবিন ক্রু পরিচয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে কেনাকাটা, ভ্রমণ ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে টাকা ও দামি জিনিসপত্র নেন। কিন্তু যখন তিনি সম্পর্ক নিয়ে সিরিয়াস হন এবং বিয়ের কথা বলেন, তখন মৌরি দূরে সরে যান এবং তাকে মানসিকভাবে হয়রানি করতে থাকেন।
অন্যদিকে, ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, শিমু তার কাছ থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা এবং একটি হীরার আংটি নেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে পরে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা চালান। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত দুই কেবিন ক্রুই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মৌরি বলেন, এসব প্রতারণার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং তাকে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে হয়রানি করা হচ্ছে। শিমু বিষয়টিকে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা বলে উল্লেখ করেন এবং বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৌরির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতিসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আদালতে চলমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শিমুর বিষয়েও আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।