চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে রামদার কোপে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন এখনও আশঙ্কামুক্ত নন। মাথায় অস্ত্রোপচারের পর তার খুলির একটি অংশ পুরোপুরি খুলে ফেলতে হয়েছে। মাথায় ব্যান্ডেজ জড়ানো অবস্থায় সতর্ক বার্তা লেখা হয়েছে— ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’, যাতে কেউ ভুল করে হাত না দেয় বা চাপ না দেয়।
পার্কভিউ হাসপাতালের জিএম তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ জানিয়েছেন, মামুনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তিনি এখন কেবিনে আছেন এবং খাবার গ্রহণ করতে পারছেন। তবে মাথার খুলির একটি অংশ না থাকায় তার প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
গত রোববার সংঘর্ষ চলাকালে মামুনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়ে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেদিন রাতেই তার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল, যা সোমবার সন্ধ্যায় খুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, একই ঘটনায় গুরুতর আহত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ এখনও ৫ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তার কনশাস লেভেল মাত্র ৬—যেখানে স্বাভাবিক মানুষের কনশাস লেভেল থাকে ১৫। চিকিৎসকদের মতে, লেভেল ১০-এর ওপরে না উঠা পর্যন্ত তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
এছাড়া, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তার শরীরে রয়েছে ভাসকুলার ইনজুরি, যা রক্তনালির জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য বন্ধুসহ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছেন, করছেন দোয়া। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আহতদের চিকিৎসা সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।