রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার দরবারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারে হামলা চালালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়। অন্তত ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি হন, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
নুরাল পাগলাকে ২৩ আগস্ট কাবা শরিফের আদলে নির্মিত ১২ ফুট উঁচু কবরস্থানে দাফন করা হয়, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হিসেবে দেখা হয়। এর প্রতিবাদে আজ ঈদগাহ ময়দানে বিক্ষোভ শেষে জনতা দরবারে হামলা চালায় এবং কবর থেকে মরদেহ তুলে সড়কে এনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
সংঘর্ষের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর হয়। বর্তমানে এলাকায় সেনা ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আশির দশকে নুরাল পাগলা নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করে দরবার গড়ে তোলেন, যা নিয়ে এলাকাজুড়ে বিতর্ক চলছিল।