সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশিরাও উপভোগ করলো বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্য—পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। পূর্ণিমার ভরাট চাঁদ ঢেকে যাওয়ার পরপরই তা রক্তিম রূপে দেখা দেয়, যাকে বলা হয় ‘ব্লাড মুন’।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকেই বাংলার আকাশে শুরু হয় চন্দ্রগ্রহণ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাদে উঠে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠরা উপভোগ করেন এ বিরল দৃশ্য। অনেকে আবার টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার নিয়েও ছিলেন প্রস্তুত।
রাত ১১টার কিছু পর দেখা যায়, চাঁদের এক পাশ কালচে হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ভরাট চাঁদ ঢেকে যেতে থাকে পৃথিবীর ছায়ায়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পুরো চাঁদ গ্রাসে ঢেকে যায়। এরপরই দেখা দেয় এক অন্য রূপ—লালচে আভা ছড়িয়ে চাঁদ হয়ে ওঠে ‘রক্তিম’।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৭ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়। রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হয় পূর্ণগ্রহণ, যা কেন্দ্রে পৌঁছে রাত ১২টা ১১ মিনিটে। চাঁদ গ্রহণ থেকে মুক্তি পেতে শুরু করে রাত ১২টা ৫৩ মিনিটে এবং স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসে রাত ২টা ৫৬ মিনিটে। প্রায় ৮২ মিনিট স্থায়ী হয় এ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, যা ২০২২ সালের পর দীর্ঘতম।
এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছিল, গ্রহণটি সম্পূর্ণভাবে দেখা যাবে ইন্দোনেশিয়ার হিলা দ্বীপ থেকে কেনিয়ার মোম্বাসা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায়। তবে উত্তর আমেরিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ জায়গা থেকে এটি দেখা যায়নি।