ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আজও চলছে অবরোধ কর্মসূচি। এর ফলে ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কে আটকে আছে দূরপাল্লার অসংখ্য যানবাহন, আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় এই অবরোধ। সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে প্রশাসন বা পুলিশের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।
ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সকাল সাড়ে ৯টার পর টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ। এছাড়াও ফরিদপুর-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এবং সুয়াদী পাম্প সংলগ্ন এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
অবরোধে আটকে পড়া ট্রাকচালক মালেক শেখ জানান, সকালে পদ্মা সেতু পার হয়ে মুনসুরাবাদে পৌঁছালে তার ট্রাক আটকে দেওয়া হয়। তিনি খুলনার মোংলা বন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। অবরোধের কারণে তারা সড়কে দুর্ভোগে পড়েছেন।
বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা কামাল মোল্লা, হাসান শরীফ ও হেমায়েত মাহমুদ জানান, তারা জানতেন না রাস্তায় এমন অবরোধ চলছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে তাদের পরিবার নিয়ে পায়ে হেঁটে ও ভ্যানে করে চলতে হচ্ছে— এতে তারা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। তবে তারা ভাঙ্গাবাসীর দাবিকে সমর্থন জানান।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, স্থানীয় প্রশাসন তাদের তিন দিনের সময় দিলেও কোনো দাবি পূরণ হয়নি। ফলে গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে একটি আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, তাই অবরোধকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করে সড়ক ছেড়ে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা) সার্কেল আসিফ ইকবাল জানান, হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ের চারটি পয়েন্টে অবরোধ চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। যদি কোনো ধরনের ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয়, তবে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার একই দাবিতে ৯ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল স্থানীয় জনতা। এরপর আবারও গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ শুরু করেছেন।