কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) বলেছেন, “ড. ইউনূস, আপনি যদি মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে হয়ে থাকেন, তাহলে লতিফ সিদ্দিকীর ওপর যে আচরণ হয়েছে, তা আপনার দুই গালে জুতা মারার শামিল।” শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি পাকিস্তানের কাছ থেকে অত্যাচারিত হতে হয়, তাও শান্তি। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতরে যদি পাকিস্তানি মনোভাব নিয়ে তরুণরা জন্ম নেন, তা কীভাবে সম্ভব?”
সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “ওয়াকার সাহেবকে আমি ভালোভাবে চিনি না, তবে সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। তবে হাসিনা হটাও আন্দোলনে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা ছিল, তা জনগণ চিরকাল মনে রাখবে। কিছু লোক সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট ভাঙার কথা বলছে, তাদের দেখে নিন।”
তিনি আরও বলেন, “৭১ মঞ্চের অনুষ্ঠানেও যারা সহিংসতা করেছে, তাদের অপরাধী বলে মনে করেন না আপনি? শেখ হাসিনার বিদায় কোটা আন্দোলন নয়, বরং আল্লাহর গজবের কারণে হয়েছে।”
এ সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যেভাবে ৭১ সালে আমরা একত্রিত হয়েছিলাম, তেমনি ২৬ সালেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, “যে দেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশালীন মন্তব্য করা হয়, সেখানে আমরা থাকতে পারি না। মুক্তিযোদ্ধারা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার ও অপমান সহ্য করা যাবে না। আমরা তার মুক্তি চাই।”
এদিকে, সমাবেশ শেষে ভূঞাপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতির ছেলে উদয়ের ওপর হামলা চালায় উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা, যা উত্তেজনা সৃষ্টি করে।