বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় বিএনপিকে ধ্বংস করার নানা চেষ্টার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার সকালে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের পর তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, "বিএনপিকে ধ্বংস করার বহু প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি প্রতিবারই ঘুরে দাঁড়িয়েছে—বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শ, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শকে সামনে রেখে। ফিনিক্স পাখির মতো বিএনপি আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।"
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দোয়ানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নেতারা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, "দলের প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, ২০ হাজারের মতো নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ১,৭০০ জনের বেশি গুম হয়েছেন। গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই কঠিন লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি প্রবাসে থেকেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।"
তিনি আরও বলেন, দেশের তরুণ সমাজ ও ছাত্রদের আন্দোলনের ফলে একটি দমনমূলক শাসন থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। এখন সামনে যে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা হলো—আগামী ফেব্রুয়ারির সম্ভাব্য নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করা।
বিএনপি মহাসচিব জানান, দলের পক্ষ থেকে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তা করা হয়েছে।
ক্ষমতায় এলে আমূল পরিবর্তনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, "৩১ দফা রূপরেখার মাধ্যমে আমরা দেশের রাজনীতিতে একটি মৌলিক পরিবর্তনের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছি। জনগণের রায় পেলে শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও একটি বড় পরিবর্তন দেখা যাবে।"
তিনি শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান স্মরণ করে বলেন, "তিনি ছিলেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত।"