ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তিনি কথা বলতে এবং তরল খাবার খেতে পারছেন। চিকিৎসকরা আশা করছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারবেন। তবে এখনও কিছুটা শারীরিক ও মানসিক ট্রমায় রয়েছেন। নাকের হাড় ভেঙে যাওয়া, মুখে ফাটল, ডান চোখে আঘাত এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তার শারীরিক অবস্থায় জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সিটিস্ক্যানে রক্তক্ষরণ অনেকটা কমেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন রবিবার ফোন করে নুরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন। একই দিনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং অন্যান্য নেতারা ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকারকালে এমন হামলা আগে হয়নি এবং এর দায় সরকারের ওপর নিতে হবে। তিনি হামলাকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির আক্রমণ’ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক কর্মসূচি ও মবের পার্থক্য বোঝার আহ্বান জানান।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মনে করছেন, নুরকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি একটি শত্রুতাপূর্ণ ষড়যন্ত্র এবং তাৎক্ষণিক তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ নুরসহ শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি আইএসপিআরের ‘মব হামলা’ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি পরিকল্পিত সেনাবাহিনীর আক্রমণ ছিল।
নুরের স্ত্রী মারিয়া নুর বলেন, এই নৃশংস হামলার ঘটনা তার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। তিনি দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশে থাকলে নুরের নিরাপত্তা সংকটে পড়তে পারে।