জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিষিদ্ধ করার দাবি শুধু আওয়ামী লীগের সহযোগী হওয়ার কারণে নয়, এর পেছনে রয়েছে ভোটের কৌশল ও সংসদে বিরোধী দলের সমীকরণ নিয়ন্ত্রণের হিসাব। জামায়াতে ইসলামী সরাসরি স্বীকার না করলেও, বিএনপি ও জাপার নেতারা মনে করছেন—ভবিষ্যৎ নির্বাচনে বিরোধী দলের অবস্থান পেতে জাপাকে বাদ দেওয়া দরকার মনে করছে একটি পক্ষ।
জামায়াত চায় তারা যেন বিএনপির সহযোগী হয়ে প্রধান বিরোধী দলের অবস্থানে যেতে পারে। কিন্তু যদি জাপা নির্বাচন করে এবং আওয়ামী লীগের ভোটের একটা অংশ পায়, তাহলে জামায়াত পিছিয়ে যেতে পারে—এই আশঙ্কায় জাপা নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপিও এই দাবিতে সরব।
অন্যদিকে, বিএনপিসহ আরও কয়েকটি দল মনে করছে, এভাবে দল নিষিদ্ধ করা হলে তা রাজনীতিতে খারাপ নজির সৃষ্টি করবে। জনগণই ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে কে থাকবে, কে থাকবে না।
পূর্ববর্তী নির্বাচনের পরিসংখ্যান বলছে, জাপা যতই দুর্বল হোক, আওয়ামী লীগের সমর্থন পেলে তাদের প্রভাব থাকতে পারে। জামায়াত তাই বিএনপির সঙ্গে নানা ইস্যুতে দরকষাকষি করছে এবং জাপা নিষিদ্ধের দাবিকে একটি চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মূলত বিরোধী দলের কাঠামো নিয়ন্ত্রণের একটি খেলা। জামায়াত চায় ভোটের আগেই নিশ্চিত করতে, তারা হবে প্রধান বিরোধী দল—আর এজন্য জাপা যেন প্রতিযোগিতায় না থাকে, সেটাই তাদের লক্ষ্য।