বাংলাদেশ নামাজ বাস্তবায়ন কমিটির আমির মাওলানা অহিদুজ্জামান বলেছেন, দেশে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সর্বস্তরে নামাজ কায়েম করতে হবে। সংসদ থেকে শুরু করে রান্নাঘর পর্যন্ত—প্রতিটি জায়গায় নামাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই প্রকৃত শান্তি অর্জন সম্ভব।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত চার দফা দাবিনির্ভর সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা অহিদুজ্জামান বলেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কোরআনের শিক্ষা বাধ্যতামূলক না করায় সমাজে জেনা, ব্যভিচার ও পাপ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন সময় এসেছে রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ পর্যন্ত সবাইকে আল্লাহর দরবারে তাওবা করে ফিরতে হবে। তাহলেই পাপমুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে মুক্ত করতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর যেসব দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে নামাজ কায়েম আছে, সেখানে অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বাংলাদেশেও যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে নামাজ প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে সমাজ থেকে খুন, ধর্ষণ, জেনা-ব্যভিচার ও দুর্নীতি কমে যাবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ যদি বেনামাজি প্রার্থীদের বাদ দিয়ে নামাজি ও পরহেজগার প্রার্থীদের নির্বাচিত করে, তাহলে দেশ সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হবে।
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা খন্দকার মাহবুবুল হক, শায়খুল হাদীস আল্লামা আবুল কাসেম কাসেমী, মাওলানা মুহাম্মাদ হোসাইন আকন্দ, মাওলানা মেবাশশ্বির আহমাদ, মাওলানা ইবরাহীম বিন আলী, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা মুজাম্মেল হক, মাওলানা আব্দুল হান্নান, মাওলানা নজির আলী ও মাওলানা ফোরকান প্রমুখ।