বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা হলেও বহু ইসলামি আলেম ও মনীষী একে শরিয়তের পরিপন্থী বলে মনে করেন। তাঁদের মতে, রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনও তাঁর জন্মদিন নির্ধারণ করে উদযাপন করেননি, বরং সোমবারে রোজা রেখে তা আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ে পরিণত করেছিলেন।
সাহাবিদের যুগেও এমন কোনো মিলাদ উদযাপনের নজির পাওয়া যায় না। তাই আলেমরা একে বিদআত হিসেবে অভিহিত করেছেন। ইসলামি শরিয়তে নতুন কোনো ইবাদত প্রচলন করতে হলে দলিল প্রয়োজন, আর ঈদ শুধু সেই উৎসব যেগুলো আল্লাহ ও রাসুল (সা.) নির্ধারণ করেছেন—যেমন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।
১২ রবিউল আউয়াল তারিখ নিয়েও রয়েছে মতভেদ। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও সীরাতকারদের মতে, নবীজির জন্ম ৮, ৯ বা ১০ রবিউল আউয়াল তারিখে হয়েছে, আবার কেউ কেউ ১২ কিংবা ১৭ তারিখের কথাও বলেছেন।
সাহি হাদিস অনুযায়ী, রাসুল (সা.) বলেছেন, “সোমবার আমি জন্মগ্রহণ করেছি, তাই আমি এ দিনে রোজা রাখি।” (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)। এটিই তাঁর জন্মদিন স্মরণে শরিয়তসম্মত পদ্ধতি।
বর্তমানে মিলাদ উদযাপনকে রাসুলপ্রেমের প্রতীক হিসেবে দেখা হলেও, আলেমদের মতে প্রকৃত ভালোবাসা হলো তাঁর সুন্নাহ অনুসরণ করা ও বিদআত পরিহার করা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং বিদআত থেকে বাঁচার তাওফিক দিন। আমিন।