বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। মূলত তামিম ইকবাল বিসিবি সভাপতি পদের দৌড়ে থাকায় আকরাম এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। কলকাতা থেকে ফোনে তিনি বলেন, “তামিম আমার ছেলের সমান। ওর জন্য আমার দোয়া ও সহযোগিতা থাকবে। আমি এবার নির্বাচন করছি না এবং তামিমকে সেটা বুঝিয়ে বলেছি।”
এর আগে বিসিবির উপদেষ্টার কার্যালয়ে পরিচয় দিতে গিয়ে যে অপমানবোধ হয়েছিল, সেটিকেও সিদ্ধান্তের পেছনে একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়ী অধিনায়ক।
এবারের বিসিবি নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা ব্যক্তিদেরই পরিচালক হিসেবে আনা হতে পারে। যার কারণে অনেক সাবেক ক্রিকেটার নির্বাচনে অংশ নিতে সাহস পাচ্ছেন না। যেমন, খালেদ মাসুদ পাইলট এবং মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ৩ নম্বর ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করতে চান। তবে অধিনায়ক কোটা থেকে কাউন্সিলর হলে এই ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করার নিয়ম নেই, তাই নান্নুকে বিকল্প প্রতিষ্ঠানের হয়ে অংশ নিতে হতে পারে।
সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, তাকে ওপর মহল থেকে ৩ নম্বর ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করার পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “এ ধরনের নির্বাচনে বিশাল সংখ্যক কাউন্সিলর ম্যানেজ করা কঠিন।”
ঢাকা বিভাগের ক্ষেত্রেও পরিকল্পনায় এসেছে নতুন চমক। এনএসসি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে পরিচালক হিসেবে আনতে চায়। বিসিবির বর্তমান সভাপতি ও সহসভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের মনোনীত সংগঠক হওয়ায় রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এ পদক্ষেপ।
ক্লাব ক্যাটাগরিতেও বিএনপিপন্থি সংগঠকদের আধিপত্য থাকতে পারে। এ ক্যাটাগরিতে রফিকুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে গঠিত একটি প্যানেলে তামিম ইকবাল, ফাহিম সিনহা, ইশরাক আহমেদ, মাসুদুজ্জামান খান, বোরহান হোসেন পাপ্পু, আজিজ আল কায়সার টিটু, মঞ্জুরুল আলম, মঈনুল হক মঈন, ইফতেখার রহমান মিঠু এবং আসিফ রাব্বানির নাম আলোচনায় এসেছে।
অন্যদিকে, সালাউদ্দিন চৌধুরীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি রাজি হননি। ক্লাব ক্যাটাগরিতে এককভাবে নির্বাচন করতে চান লুৎফর রহমান বাদল। এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না খালেদ মাহমুদ সুজন এবং পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদও নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন।